Human-Computer Interaction: UI & UX হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টারঅ্যাকশন:ইউসার ইন্টারফেস ও ইউসার এক্সপেরিয়েন্স
এখন আমরা অনেকেই মোবাইল এ app বানাই, কিন্তু সব app সমান জনপ্রিয় কিংবা লাভজনক হয়না, কীভাবে বুঝব আমার এত কষ্ট করে বানানো app সফল হবে কিনা! যে দু'টা জিনিস একদম এক লাইন কোড লিখার আগেই ভেবে নিতে হবে:
১. ইউসার ইন্টারফেস:
উদাহরণ: কম্পিউটার এর স্ক্রিন, কীবোর্ড, মাউস, মোবাইল এর টাচ-স্ক্রিন, কী প্যাড, এ.টি.এম. এর স্ক্রিন,- অর্থাত যা কিছু ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটার কে নির্দেশ দেই।
ঠিক কোন বাটনটা কোন বাটনের পরে থাকবে? ক্যানসেল আর ও.কে. বাটন কি পাশাপাশি রাখব? বেশি কাছে রাখলে মানুষ ভুলে একটার জায়গায় আরেকটায় ক্লিক করে ফেলতে পারে, আবার বেশি দূরে রাখলে খুঁজে পাবে না। আবার অনেকে বেশি মাউস টানাটানি পছন্দ করে না, তাদের জন্য তো একটা কীবোর্ড শর্টকাট রাখা দরকার।
মানুষ কি পুরো পেজটা পড়ে দেখবে? নাকি কোনো নির্দিষ্ট শব্দ খুঁজে বের করে ঐ অংশটুকুই পড়বে ? তাহলে তো একটা Search অপশন অবশ্যই রাখতে হয়।
পেজ এ লাল, নীল, হলুদ, সবুজ দুনিয়ার রং ব্যবহার করলাম, তাও লোকে বলে পেজটা খ্যাত লাগে, তাহলে কী কী রং বেবহার করা উচিত ছিল? মানুষ ফেসবুক এত ব্যবহার করে, তাহলে অর্কুট(২) কেন ফেল করল? ফেসবুক কেন নীল আর গুগল কেন বর্ণিল?
ফেসবুকের সব এডগুলি ডানদিকে থাকে কেন? আর প্রোফাইল পেজ এ সব পোস্ট ডান দিকে, আর অন্য জিনিস বাঁ কোনায়, এইগুলি কারা কীভাবে ঠিক করে?
অর্থাত, UI ডিসাইন এ যেই জিনিসগুলি নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয় সেগুলো অনেকটা এরকম:
- পেজ এর বর্ণ বিন্যাস (কালার পালেট)
- লেআউট
- ইনপুট এলিমেন্ট (বাটন, সার্চ box, লিংক..., যেসব জিনিস ব্যবহারকারীর থেকে ইনপুট আশা করে)
- নন-ইনপুট এলিমেন্ট(ছবি, টেক্সট, যেইগুলি ক্লিক করলেও কিছু হবে না)
২. ইউসার এক্সপেরিয়েন্স:
শুধু নির্দেশ দিয়েই আমরা বসে থাকি না, আমরা এটাও আশা করি যে আমি যা বলতে চাইছি, কম্পিউটার সেটা বুঝে ঠিক সেই কাজতাই করবে। কিন্তু আসলেও কি সবসময় তা হয়? অনেক সময়েই আমরা মহা বরকত হয় কম্পিউটার এর উপর; বলি একটা করে আরেকটা, নয়তো একশবার জিগেশ করে "Are you sure?", "Do you really want to delete?". আরে বেটা ডিলিট করতে চাইলাম দেখেই তো ক্লিক করলাম! একটু পরে মনে হয়, আরে ওই ফাইলটা তো দরকার ছিল! মানুষের এরকম অভিজ্ঞতা থেকেই কম্পিউটার এর recycle bin এর ধারণাটা এলো। অর্থাত ওই বারে বারে জিগেশ করাতে বিরক্ত হবার অভিজ্ঞতা আর পরে "আহ! জীবনটা বাঁচলো!"-এই অভিজ্ঞতা - এই দুটার মাঝামাঝি একটা আপোষ করা। HCI এই বেপারটা নিয়েও গবেষণা করে, ঠিক কতটুকু বিরক্তি মানুষ সহ্য করে, আর কিসে খুশি হয়, আর কিসে একেবারে প্রোগ্রাম uninstall করে দেয়, কিংবা অপারেটিং সিস্টেমই বদলে ফেলে!
(to be continued...draft, lots to add)
১. http://www.usability.gov/
২. যারা অনেক ছোট তারা হয়ত অর্কুট এর নাম ও শুনেনি, ঐটা আদিকালের একটা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক।
৩. https://www.cs.umd.edu/users/ben/goldenrules.html
- আমি কাদের জন্য বানাচ্ছি (who are the users)HCI এর বেশ কিছু মৌলিক ধারণাগুলোর মাঝেও এই বেপারগুলোই বার বার আসে। আজকে এরকম দুইটা মূল ধারণা নিয়ে কথা বলি।
- এই সফটওয়্যার/app ব্যবহার করে মানুষ কী কী করতে পারবে (what are the tasks)
১. ইউসার ইন্টারফেস:
উদাহরণ: কম্পিউটার এর স্ক্রিন, কীবোর্ড, মাউস, মোবাইল এর টাচ-স্ক্রিন, কী প্যাড, এ.টি.এম. এর স্ক্রিন,- অর্থাত যা কিছু ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটার কে নির্দেশ দেই।
ঠিক কোন বাটনটা কোন বাটনের পরে থাকবে? ক্যানসেল আর ও.কে. বাটন কি পাশাপাশি রাখব? বেশি কাছে রাখলে মানুষ ভুলে একটার জায়গায় আরেকটায় ক্লিক করে ফেলতে পারে, আবার বেশি দূরে রাখলে খুঁজে পাবে না। আবার অনেকে বেশি মাউস টানাটানি পছন্দ করে না, তাদের জন্য তো একটা কীবোর্ড শর্টকাট রাখা দরকার।
মানুষ কি পুরো পেজটা পড়ে দেখবে? নাকি কোনো নির্দিষ্ট শব্দ খুঁজে বের করে ঐ অংশটুকুই পড়বে ? তাহলে তো একটা Search অপশন অবশ্যই রাখতে হয়।
পেজ এ লাল, নীল, হলুদ, সবুজ দুনিয়ার রং ব্যবহার করলাম, তাও লোকে বলে পেজটা খ্যাত লাগে, তাহলে কী কী রং বেবহার করা উচিত ছিল? মানুষ ফেসবুক এত ব্যবহার করে, তাহলে অর্কুট(২) কেন ফেল করল? ফেসবুক কেন নীল আর গুগল কেন বর্ণিল?
ফেসবুকের সব এডগুলি ডানদিকে থাকে কেন? আর প্রোফাইল পেজ এ সব পোস্ট ডান দিকে, আর অন্য জিনিস বাঁ কোনায়, এইগুলি কারা কীভাবে ঠিক করে?
অর্থাত, UI ডিসাইন এ যেই জিনিসগুলি নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয় সেগুলো অনেকটা এরকম:
- পেজ এর বর্ণ বিন্যাস (কালার পালেট)
- লেআউট
- ইনপুট এলিমেন্ট (বাটন, সার্চ box, লিংক..., যেসব জিনিস ব্যবহারকারীর থেকে ইনপুট আশা করে)
- নন-ইনপুট এলিমেন্ট(ছবি, টেক্সট, যেইগুলি ক্লিক করলেও কিছু হবে না)
২. ইউসার এক্সপেরিয়েন্স:
শুধু নির্দেশ দিয়েই আমরা বসে থাকি না, আমরা এটাও আশা করি যে আমি যা বলতে চাইছি, কম্পিউটার সেটা বুঝে ঠিক সেই কাজতাই করবে। কিন্তু আসলেও কি সবসময় তা হয়? অনেক সময়েই আমরা মহা বরকত হয় কম্পিউটার এর উপর; বলি একটা করে আরেকটা, নয়তো একশবার জিগেশ করে "Are you sure?", "Do you really want to delete?". আরে বেটা ডিলিট করতে চাইলাম দেখেই তো ক্লিক করলাম! একটু পরে মনে হয়, আরে ওই ফাইলটা তো দরকার ছিল! মানুষের এরকম অভিজ্ঞতা থেকেই কম্পিউটার এর recycle bin এর ধারণাটা এলো। অর্থাত ওই বারে বারে জিগেশ করাতে বিরক্ত হবার অভিজ্ঞতা আর পরে "আহ! জীবনটা বাঁচলো!"-এই অভিজ্ঞতা - এই দুটার মাঝামাঝি একটা আপোষ করা। HCI এই বেপারটা নিয়েও গবেষণা করে, ঠিক কতটুকু বিরক্তি মানুষ সহ্য করে, আর কিসে খুশি হয়, আর কিসে একেবারে প্রোগ্রাম uninstall করে দেয়, কিংবা অপারেটিং সিস্টেমই বদলে ফেলে!
(to be continued...draft, lots to add)
১. http://www.usability.gov/
২. যারা অনেক ছোট তারা হয়ত অর্কুট এর নাম ও শুনেনি, ঐটা আদিকালের একটা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক।
৩. https://www.cs.umd.edu/users/ben/goldenrules.html
Comments
Post a Comment