মাঝে মাঝে নিজের কাজ নিয়ে কাউকে বোঝাতে গেলে আটকে যাই, বিশেষ করে বাংলায়, আবার এর উল্টোটাও হয় কখনো কখনো।উইকিপিডিয়াতে হিউমান-কম্পিউটার ইন্টারঅ্যাকশন এর এই পাতাটা পেলাম, এর কোনো বাংলা সংস্করণ নেই, তাই ভাবলাম নিজেই একটা লিখে ফেলি, তার আগে একটু ব্লগ এ চেষ্টা করে দেখি।
প্রথমেই দেখি এটা আসলে কী।
সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে মানুষ বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে আসছে, ছুরি, হাতুড়ি, চাকা, এসব থেকে শুরু করে বড় বড় শিল্পকারখানার ভারী যন্ত্র, আবার আছে কিছু নিত্যদিনের ব্যবহার্য যন্ত্র, যেমন লিফ্ট, গাড়ি, ফ্যান, টিভি, ইত্যাদি ইত্যাদি। একটা লিফট আস্ত কত গুলো মানুষ নিয়ে সারা দিন উপর নিচ উঠানামা করে, অথচ এর কাজ ওই একটাই, সেই অর্থে এটাকে খুব সহজ সরল একটা যন্ত্র বলা যায়, আমরা এর ভিতর ঢুকি, কত তলায় যাব সেই সুইচ দেই, এর পর চলে যাই, কতই সহজ! কিন্তু না, BUET এর লিফট এর অভিজ্ঞতা যাদের আছে তারা জানে একটা আপাত সরল যন্ত্র কত ভোগান্তি করতে পারে! একটাই কাজ, তাও ঠিকমত করতে পারে না!
এবার আসি টিভি এর কথায়, একটা বাচ্চাও জানে কীভাবে টিভি অন/অফ করতে হয়, আরেকটু বড় হয়ে শিখে ফেলে চানেল পাল্টানো, এর পর শুরু হয় রিমোট দখলের যুদ্ধ! কীভাবে তারের মাঝ দিয়ে ছবি এসে জাদুর বাক্সে ঢুকে গেল তা জানার কোনো দরকার হয় না, দরকার কেবল একটা ইন্টারফেস, একটা যোগাযোগের প্রক্রিয়া।
আরেকটু জটিল যন্ত্রের দিকে তাকাই, যেমন গাড়ি। চোখ, কান, হাত, পা সব কিছু ব্যবহার করে এই জিনিসটা চালাতে হয়, এর একটাই কাজ, আমাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া। কিন্তু চালানোটা এত সহজ না। তার একটা অন্যতম কারণ এর বাজে ইন্টারফেস।
আর কম্পিউটার নামক যন্ত্রটা তাহলে কোন দল এ পড়ে? এটা তো কেবল অন/অফ করেই শেষ না, বরং শুরু বলা যায়। আসলে কম্পিউটার এমন একটা যন্ত্র যার কাজের কোন সীমা নেই, বরং বলা যায় এটা অনেক অনেক যন্ত্রের একটা আড্ডাখানা, আর ওই অনেক যন্ত্রগুলো আমরা যন্ত্র না বলে বলি প্রোগ্রাম কিংবা এপ্লিকেশন। টিভির মত কম্পিউটার ও এখন বাচ্চারাও সহজে ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু কম্পিউটার এর এই অবস্থায় আসতে কিন্তু এক দিন দুদিন লাগে নি, দেখি আগের কম্পিউটারগুলো কেমন ছিল:
https://www.youtube.com/watch?v=PF7EpEnglgk
উপরের ভিডিও তে এই যে বাচ্চাগুলো কম্পিউটার ব্যবহার করতে হিমশিম খাচ্ছে এটা কিন্তু ওদের দোষ না, বরং সেই বাজে ডিযাইন এরই দোষ। ধীরে ধীরে আজকের কম্পিউটার যে সবার জন্য এত সহজে ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠেছে তার পেছনে যারা কাজ করেছেন তারা ভেবেছেন সাধারণ মানুষের কথা, কীভাবে মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করে সেটা তারা পর্যবেক্ষণ করেছেন, কী কী জিনিস এ আমরা বিরক্ত হই সেগুলো দূর করে কীভাবে আরো সহজে একে সবার কাছে আনা যায় সেই চেষ্টা করেছেন, আর এভাবেই জন্ম হয়েছে বিজ্ঞানের নতুন একটা শাখার, যার নাম 'হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টারঅ্যাকশন' ।
Reference:
1. http://www.smartgirl.org/brain-food/career-hubs/human-computer-interaction.html
2. http://en.wikipedia.org/wiki/Human%E2%80%93computer_interaction
প্রথমেই দেখি এটা আসলে কী।
সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে মানুষ বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে আসছে, ছুরি, হাতুড়ি, চাকা, এসব থেকে শুরু করে বড় বড় শিল্পকারখানার ভারী যন্ত্র, আবার আছে কিছু নিত্যদিনের ব্যবহার্য যন্ত্র, যেমন লিফ্ট, গাড়ি, ফ্যান, টিভি, ইত্যাদি ইত্যাদি। একটা লিফট আস্ত কত গুলো মানুষ নিয়ে সারা দিন উপর নিচ উঠানামা করে, অথচ এর কাজ ওই একটাই, সেই অর্থে এটাকে খুব সহজ সরল একটা যন্ত্র বলা যায়, আমরা এর ভিতর ঢুকি, কত তলায় যাব সেই সুইচ দেই, এর পর চলে যাই, কতই সহজ! কিন্তু না, BUET এর লিফট এর অভিজ্ঞতা যাদের আছে তারা জানে একটা আপাত সরল যন্ত্র কত ভোগান্তি করতে পারে! একটাই কাজ, তাও ঠিকমত করতে পারে না!
এবার আসি টিভি এর কথায়, একটা বাচ্চাও জানে কীভাবে টিভি অন/অফ করতে হয়, আরেকটু বড় হয়ে শিখে ফেলে চানেল পাল্টানো, এর পর শুরু হয় রিমোট দখলের যুদ্ধ! কীভাবে তারের মাঝ দিয়ে ছবি এসে জাদুর বাক্সে ঢুকে গেল তা জানার কোনো দরকার হয় না, দরকার কেবল একটা ইন্টারফেস, একটা যোগাযোগের প্রক্রিয়া।
আরেকটু জটিল যন্ত্রের দিকে তাকাই, যেমন গাড়ি। চোখ, কান, হাত, পা সব কিছু ব্যবহার করে এই জিনিসটা চালাতে হয়, এর একটাই কাজ, আমাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া। কিন্তু চালানোটা এত সহজ না। তার একটা অন্যতম কারণ এর বাজে ইন্টারফেস।
আর কম্পিউটার নামক যন্ত্রটা তাহলে কোন দল এ পড়ে? এটা তো কেবল অন/অফ করেই শেষ না, বরং শুরু বলা যায়। আসলে কম্পিউটার এমন একটা যন্ত্র যার কাজের কোন সীমা নেই, বরং বলা যায় এটা অনেক অনেক যন্ত্রের একটা আড্ডাখানা, আর ওই অনেক যন্ত্রগুলো আমরা যন্ত্র না বলে বলি প্রোগ্রাম কিংবা এপ্লিকেশন। টিভির মত কম্পিউটার ও এখন বাচ্চারাও সহজে ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু কম্পিউটার এর এই অবস্থায় আসতে কিন্তু এক দিন দুদিন লাগে নি, দেখি আগের কম্পিউটারগুলো কেমন ছিল:
https://www.youtube.com/watch?v=PF7EpEnglgk
উপরের ভিডিও তে এই যে বাচ্চাগুলো কম্পিউটার ব্যবহার করতে হিমশিম খাচ্ছে এটা কিন্তু ওদের দোষ না, বরং সেই বাজে ডিযাইন এরই দোষ। ধীরে ধীরে আজকের কম্পিউটার যে সবার জন্য এত সহজে ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠেছে তার পেছনে যারা কাজ করেছেন তারা ভেবেছেন সাধারণ মানুষের কথা, কীভাবে মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করে সেটা তারা পর্যবেক্ষণ করেছেন, কী কী জিনিস এ আমরা বিরক্ত হই সেগুলো দূর করে কীভাবে আরো সহজে একে সবার কাছে আনা যায় সেই চেষ্টা করেছেন, আর এভাবেই জন্ম হয়েছে বিজ্ঞানের নতুন একটা শাখার, যার নাম 'হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টারঅ্যাকশন' ।
Reference:
1. http://www.smartgirl.org/brain-food/career-hubs/human-computer-interaction.html
2. http://en.wikipedia.org/wiki/Human%E2%80%93computer_interaction
Comments
Post a Comment